সূক্ষ্ম যন্ত্র
প্রত্যেক মনুষ্য দেহের মধ্যেই তিনটি নাড়ী এবং সাতটি চক্র-র এক সূক্ষ্ম যন্ত্র আছে।
চক্রগুলি অর্থাৎ সূক্ষ্ম শক্তি কেন্দ্রগুলি আমাদের জীবনের সমস্ত কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রবৃত্তিজাত জৈবিক কাজকর্মের নিয়ন্ত্রণ হয় নিচের চক্রগুলিতে; উপরের কেন্দ্রগুলি নিয়ন্ত্রণ করে হৃদয় ও মনকে; সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক উন্নতির স্থিতি সহস্রার ও তার উপরে ঘটে থাকে। আমাদের সারতত্ত্ব হ'ল আত্মা বা চৈতন্য, যা বাম হৃদয়ে অবস্থিত।
কিন্ত তাকে জানতে আমাদের প্রয়োজন চিত্তের বহির্মূখী প্রবাহকে অন্তর্মূখী করে প্রকৃত সত্যকে সাক্ষীরূপে প্রত্যক্ষ করা ।তবে এই ব্যবস্থা অতিশয় সুবিন্যস্ত। সেক্রাম বা পবিত্র অস্থিতে সুপ্ত অবস্থায় স্থিত কুন্ডলিনী অর্থাৎ সূক্ষ্ম আধ্যাত্মিক শক্তি উপযুক্ত সময়ে জাগৃত হলে উর্ধগতি প্রাপ্ত হয় এবং তখনই চিত্ত অন্তর্মূখী হয়।
এ সময়ে আমাদের চিন্তাও অপসারিত হয় এবং আমরা চিন্তাশুণ্য সচেতনতার এক স্বচ্ছ অবস্থায় অর্থাৎ নির্বিচারিতায় প্রবেশ করি । এটাই আত্মসাক্ষাৎকারের প্রথম স্তর ।
সহজযোগ-এর আর একটি লাভ হ'ল আমাদের 'স্পন্দন-জনিত অনুভূতি" উপলব্ধি করার ক্ষমতা অর্জন অর্থাৎ আমাদের মধ্যস্থিত সূক্ষ্মযন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া। শক্তিকেন্দ্র বা চক্রগুলির অবস্থা তখন আমরা হাতে অনুভব করতে পারি। (প্রথম রঙ্গিন চিত্রটি দ্রষ্টব্য)
কোন আঙ্গুলে হাল্কা সূচ ফোটানোর বা ব্যাথার অনুভূতি, সেই বিশেষ চক্রে বাধা বলে পরিগণিত হয়; তা বাম হাতে হলে বাম নাড়ীতে, ডান হাতে হলে ডান নাড়ীতে এবং দু'হাতে হলে মধ্য নাড়ীতে সেই চক্রে বাধার নির্দেশ করে। হাতের দুই তালুভাগে শীতল বায়ু অবিরত প্রবাহিত হলে তা চৈতন্য লহরীর বাধাহীন প্রবাহকেই নির্দিষ্ট করে ।
(প্রথম রঙ্গিন চিত্রটি দ্রষ্টব্য।)
No comments:
Post a Comment