Tuesday, September 1, 2020

Developing Shri Ganesh Tatwa

 জয় শ্রী মাতাজী


শ্রী গণেশ তত্ত্ব কে বিকশিত করার ব্যবহারিক পদ্ধতি-


"গণেশ তত্ত্ব বা গণেশের সিদ্ধান্ত নিজের ভিতর বিকশিত করার জন্য, আর একে অত্যন্ত ভৌতিক স্তরে বোঝার জন্য আমরা বলতে পারি যে আপনাকে এমন জিনিস খেতে হবে যা গণেশ সিদ্ধান্ত কে প্রদান করে, আমি পেয়েছি যে চানা আর হেজেলনট (এক ধরনের আখরোট) উপযোগী আছে.আবার আপনি দেখুন,আপনাকে অনেক লেবু ব্যবহার করা উচিত, এটি একটি ভালো প্রস্তাব.এই সকল বস্তু আপনাকে ভালো গণেশ তত্ত্ব প্রদান করে.অতএব এই সব বস্তু ব্যবহার করা উচিত.আরো আপনাকে দেখা দরকার অন্য আর অনেক কি বস্তু আছে যা আপনার ভিতরে গণেশ তত্ত্ব বিকশিত করতে সাহায্য করে.কিন্তু এই সবের চেয়ে অধিক মহত্ত্বপূর্ণ হল আপনি আপনার চোখের উপর নিয়ন্ত্রন রাখুন.এমন কোনো জিনিস দেখবেন না যা আপনাকে প্রলোভিত করে.



অতপর আপনার দৃষ্টিতে ভূমির উপর রাখুন.যখনই আপনার বিপরীত লিঙ্গের  (সেক্স) পুরুষ / স্ত্রী নজরে আসে, নিজের চোখের উপর ধ্যান দিন, এটা জানার জন্য কি নজর থেকে আপনি ঐ ব্যক্তিকে দেখছেন, বাসনা থেকে বা লোভ থেকে.আর যদি আপনি এটা বুঝে যান তাহলে আপনি আপনার চোখকে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে শুরু করে দেবেন. অন্য কথা এই যে কি আপনাকে একটা বা দুটো শারীরিক অভ্যাস করার চেষ্টা করতে হবে যাতে আপনি ধরনী মার উপর সাষ্টাঙ্গে শুয়ে পড়তে পারেন,কারন এটা গণেশ তত্ত্বকে বিকশিত করতে সহায়তা করে.অতএব শ্রী গণেশের ধ্যান করার পূর্বে আপনার এই অভ্যাস করা উচিত, আপনার স্নায়ু ( মার্শেল) শিথিল করার জন্য, এইযে আপনি ধরনী মাকে পুরোপুরি অধিক সাষ্টাঙ্গ রূপে ছুঁতে পারেন.এই পদ্ধতি আপনাকে সাহায্য করবে.


শ্রী মাতাজী নির্মলা দেবী

25/3/1999 পুণে ভারত.

21 Steps of Sahaja Yoga - Bengali Article

 সহজ যোগে একুশটি পদক্ষেপ

১) শ্রী মাতাজীর পরিচয় আমরা যেন কখনোই বিস্মৃত না হই।

২) প্রাত‍্যহিক ধ‍্যান আমাদের অবশ্যকর্তব্য।

৩) আমরা কখনোই অন‍্যের সমালোচনা করব না।

৪) আমাদের নিয়মিতভাবে পাদুকা-প্রহার, জলক্রিয়া, নাসারন্ধ্রে ঘৃত অর্পণ এবং স্পন্দন বিনিময় করতে হবে।

৫) আমরা যেন কখনোই অহংকারকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজেদের সর্বজ্ঞ ভাবার এবং প্রত‍্যেকে আমাদের মতো চলবে ও হবে এটা মনে করার মূর্খামি না করি।

৬) সুবর্ণ অনুশাসনে সচেতনভাবে আমাদের জীবন যাপন করা উচিত।

৭) আত্মার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো কিছু করা বা বলা উচিত নয়।

৮) আমাদের শ্রী মাতাজীর ক‍্যাসেট নিয়মিত দেখা ও শোনা উচিত।

৯) কথায় ও কাজে আমরা যেন র্ধমান্ধ না হই।

১০) পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা আমাদের অবশ্যকর্তব্য। আমাদের মর্যাদাবোধ থাকতে হবে।

১১) আমরা যেন আশ্রমে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি না করি। আশ্রমকে হতে হবে আনন্দ ও শান্তির নীড়।

১২) আমাদের ভিতরের পরিচিত সমস‍্যাগুলি দূর করার জন্য আমাদের গুরুত্ব সহকারে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

১৩) আমরা যেন নিজেদের দোষত্রুটি সম্পর্কে বাজে অজুহাত দেখানোর চেষ্টা না করি।

১৪) অন‍্যের বিচার বিশ্লেষণ করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।

১৫) আমাদের সংশোধন করলে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করব না।

১৬) প্রতি সপ্তাহে আমাদের অন্তত একটি করে সহজ যোগের সার্বজনীন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হবে।

১৭) আমারা কখনোই পরচর্চা করব না।

১৮) নিজেদের সময় ও সম্পদের বিষয়ে আমাদের উদার হতে হবে।

১৯) মানসিক ধারণা কে স্পন্দনের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া উচিত নয়।

২০) আমাদের সর্বদা মনে রাখতে হবে আমরা শ্রী মাতাজীর গৃহে বাস করি।

২১) আমরা সহজের কাজের থেকে ব‍্যক্তিগত বিষয়ে অগ্ৰাধিকার দেব না।