Sahaja Yoga Online Session for Bangladesh Collective - Morning 7am BDT (Bangladesh Time)
# #spirituality #spirituality #spiritualawakening #meditation #kundalini #kundaliniawakening #kundalinienergy
পরম পূজ্য মাতাজি শ্রী নির্মলা দেবীর অমৃতবানী থেকে উদ্ধৃত কিছু মুক্তো
# #spirituality #spirituality #spiritualawakening #meditation #kundalini #kundaliniawakening #kundalinienergy
জয় শ্রী মাতাজী
"গণেশ তত্ত্ব বা গণেশের সিদ্ধান্ত নিজের ভিতর বিকশিত করার জন্য, আর একে অত্যন্ত ভৌতিক স্তরে বোঝার জন্য আমরা বলতে পারি যে আপনাকে এমন জিনিস খেতে হবে যা গণেশ সিদ্ধান্ত কে প্রদান করে, আমি পেয়েছি যে চানা আর হেজেলনট (এক ধরনের আখরোট) উপযোগী আছে.আবার আপনি দেখুন,আপনাকে অনেক লেবু ব্যবহার করা উচিত, এটি একটি ভালো প্রস্তাব.এই সকল বস্তু আপনাকে ভালো গণেশ তত্ত্ব প্রদান করে.অতএব এই সব বস্তু ব্যবহার করা উচিত.আরো আপনাকে দেখা দরকার অন্য আর অনেক কি বস্তু আছে যা আপনার ভিতরে গণেশ তত্ত্ব বিকশিত করতে সাহায্য করে.কিন্তু এই সবের চেয়ে অধিক মহত্ত্বপূর্ণ হল আপনি আপনার চোখের উপর নিয়ন্ত্রন রাখুন.এমন কোনো জিনিস দেখবেন না যা আপনাকে প্রলোভিত করে.
অতপর আপনার দৃষ্টিতে ভূমির উপর রাখুন.যখনই আপনার বিপরীত লিঙ্গের (সেক্স) পুরুষ / স্ত্রী নজরে আসে, নিজের চোখের উপর ধ্যান দিন, এটা জানার জন্য কি নজর থেকে আপনি ঐ ব্যক্তিকে দেখছেন, বাসনা থেকে বা লোভ থেকে.আর যদি আপনি এটা বুঝে যান তাহলে আপনি আপনার চোখকে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে শুরু করে দেবেন. অন্য কথা এই যে কি আপনাকে একটা বা দুটো শারীরিক অভ্যাস করার চেষ্টা করতে হবে যাতে আপনি ধরনী মার উপর সাষ্টাঙ্গে শুয়ে পড়তে পারেন,কারন এটা গণেশ তত্ত্বকে বিকশিত করতে সহায়তা করে.অতএব শ্রী গণেশের ধ্যান করার পূর্বে আপনার এই অভ্যাস করা উচিত, আপনার স্নায়ু ( মার্শেল) শিথিল করার জন্য, এইযে আপনি ধরনী মাকে পুরোপুরি অধিক সাষ্টাঙ্গ রূপে ছুঁতে পারেন.এই পদ্ধতি আপনাকে সাহায্য করবে.
শ্রী মাতাজী নির্মলা দেবী
25/3/1999 পুণে ভারত.
১) শ্রী মাতাজীর পরিচয় আমরা যেন কখনোই বিস্মৃত না হই।
২) প্রাত্যহিক ধ্যান আমাদের অবশ্যকর্তব্য।
৩) আমরা কখনোই অন্যের সমালোচনা করব না।
৪) আমাদের নিয়মিতভাবে পাদুকা-প্রহার, জলক্রিয়া, নাসারন্ধ্রে ঘৃত অর্পণ এবং স্পন্দন বিনিময় করতে হবে।
৫) আমরা যেন কখনোই অহংকারকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজেদের সর্বজ্ঞ ভাবার এবং প্রত্যেকে আমাদের মতো চলবে ও হবে এটা মনে করার মূর্খামি না করি।
৬) সুবর্ণ অনুশাসনে সচেতনভাবে আমাদের জীবন যাপন করা উচিত।
৭) আত্মার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো কিছু করা বা বলা উচিত নয়।
৮) আমাদের শ্রী মাতাজীর ক্যাসেট নিয়মিত দেখা ও শোনা উচিত।
৯) কথায় ও কাজে আমরা যেন র্ধমান্ধ না হই।
১০) পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা আমাদের অবশ্যকর্তব্য। আমাদের মর্যাদাবোধ থাকতে হবে।
১১) আমরা যেন আশ্রমে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি না করি। আশ্রমকে হতে হবে আনন্দ ও শান্তির নীড়।
১২) আমাদের ভিতরের পরিচিত সমস্যাগুলি দূর করার জন্য আমাদের গুরুত্ব সহকারে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
১৩) আমরা যেন নিজেদের দোষত্রুটি সম্পর্কে বাজে অজুহাত দেখানোর চেষ্টা না করি।
১৪) অন্যের বিচার বিশ্লেষণ করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
১৫) আমাদের সংশোধন করলে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করব না।
১৬) প্রতি সপ্তাহে আমাদের অন্তত একটি করে সহজ যোগের সার্বজনীন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হবে।
১৭) আমারা কখনোই পরচর্চা করব না।
১৮) নিজেদের সময় ও সম্পদের বিষয়ে আমাদের উদার হতে হবে।
১৯) মানসিক ধারণা কে স্পন্দনের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া উচিত নয়।
২০) আমাদের সর্বদা মনে রাখতে হবে আমরা শ্রী মাতাজীর গৃহে বাস করি।
২১) আমরা সহজের কাজের থেকে ব্যক্তিগত বিষয়ে অগ্ৰাধিকার দেব না।
সহজ যোগ হেলথ সেন্টারের উপদেশ- বেলাপুর, ভাসি
প্রিয় যোগীবৃন্দ
জয় শ্রী মাতাজী
এপ্রিল 2013 সালে অষ্ট্রেলিয়ার যোগীগনের সাথে
ভারতের ভাসি সহজ যোগ হেলথ সেন্টারে যে প্রশ্নাত্তর পর্ব আলোচিত হয়েছিল সেই উপদেশগুলি এখন আমদের কাছে আছে,
গুরুত্ব মানিতে অস্বীকারক
নিন্মে যে সকল উপদেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে তা সব সহজ যোগের অভ্যাসের আলোকে উদ্ভাসিত,এবং এটিকে কখনও সরকারী চিকিৎসার উপদেশ হিসাবে ধরা উচিত না. গোড়া স্বাস্থ্য পেশাদারীর থেকে উপদেশ বা চিকিৎসাকে প্রতিস্থাপন করার কোনো অভিপ্রায় নেই.আপনার গতানুগতিক ঔষধ সম্পর্কিত চিকিৎসা পরিত্যাগ করা উচিত নয়,অথবা যদি আপনার কোনো শারীরিক অবস্থা সমন্ধে মূলধারার কোনো দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শের গুরুত্বকে অবজ্ঞা করা উচিত না.
কোনো দায় গ্রহন করা হবে না, প্রস্তাবিত অভ্যাস সাথে সম্পর্ক উহ্য থাকবে.
গর্ভাবস্থার সময়
1.আপনারা পাবলিক প্রোগামে যোগ দিতে পারেন,কিন্তু আত্মসাক্ষাৎকার দেওয়া বা অন্যের উপর কার্য করা উচিত নয়.
2.আপনার প্রয়োজন শ্রী মাতাজীর বক্তৃতা বা মায়ের পূজার কথা শোনা, ভালো বই পড়া,হালকা কাজ করা, অপরাহ্নে বিশ্রাম নেওয়া এবং পা গুলি উপরে রাখতে হবে.
3.গরম জিনিস খাওয়া উচিত না যেমন পেপে.
4.প্রতিদিন জলক্রিয়া ও ধ্যান করা উচিত.
5.কেবলমাত্র প্রয়োজনে বাদিকের ট্রিটমেন্ট করা উচিত.
6. ক্যানডেল বা মোমবাতির ট্রিটমেন্ট করতে পারেন কিন্তু কর্পূরকে এড়িয়ে.
7. হাভনের সময় ঠিক অগ্নির সামনে বসা উচিত নয়,
8.প্রয়োজনে মটকা করতে পারেন.
শিশুদের যত্ন:
শিশুদের যত্নের ক্ষেত্রে মা এবং শিশু একই সত্তা.
1.মা শিশুকে কোলে নিয়ে যদি নিজেকে ক্লিয়ার করে, জলক্রিয়া করে তাহলে উভয়ই ক্লিন হয়ে যাবে.
2.শিশুকে উষ্ণ খনিজ তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন যেমন উষ্ণ অলিভ অয়েল ভালো.মালিশ করার সময় গণেশ অর্থবশীষ পাঠ করতে পারেন.
3.গ্যাস অথবা খেঁচুনি হলে
মসলিন কাপড়ের ভিতর আজওয়ান নিয়ে উষ্ণ সেক দিতে পারেন.
4.নজর অপসারণ করার জন্য সাতটি শুকনো লঙ্কা, সাতটি গোলমরিচ, কালা সরষে, নুন,না চালা স্থূল আটা
সব একটা পেপারে রাখতে হবে এবং আরতির মত সাত বার ঘোরাতে হবে তারপর নজর টাকে দূর করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে.
5.অনন্যা বিশদের ক্ষেত্রে আপনি আপনার সেন্টারে জিজ্ঞাসা করতে পারেন.
রক্তচাপের জন্য
সহজ যোগের দৃষ্টিতে দয়া করে
1:প্রতিদিন জলক্রিয়া
2.লিভার আর ডানদিকের স্বাধিষ্ঠানে আইস প্যাক লাগাতে হবে.
3 অহংকার, প্রতি অহংকারের ভাবনা গুলির জন্য শু বিট করতে হবে.
4.শ্রী মাতাজীর শ্রীচরনের উপর চোখ খোলা রেখে কিছুক্ষন ধ্যান করতে হবে.
5.বিশুদ্ধ পরিষ্কারের জন্য নাকে ঘী কর্পূর দিতে হবে এবং আল্লা হু আকবর বলতে হবে.
6.দেবী কবচ পড়লে সব অবস্থায় সাহায্যকারী হবে.
ডানদিক পরিষ্কার
1.ঠান্ডা জলে জল ক্রিয়া.
2.ডানদিকের স্বাধিষ্ঠান,ডানদিকের নাভি, লিভার,এবং ডান ও পিছনের আজ্ঞাতে আইস প্যাক দিতে হবে.
3.বাম হাত আকাশের দিকে আর ডান হাত শ্রী মাতাজীর ফটোর দিকে রেখে ধ্যান করতে হবে.
4.হনুমান চালীশা পড়তে হবে আর শ্রী সরস্বতীর কাছে প্রার্থনা করতে হবে.
বামদিকের পরিষ্কার:
1.মটকা(লেবু এবং লঙ্কা)
2.তিনটি মোমবাতির ক্লিয়ারেন্স( এক্ষেত্রে মোটা মোমবাতি ব্যবহার করতে হবে)
3.শ্রী মহাকালীর 108 নাম আর শ্রী ভৈরবের 21টি নাম পড়তে হবে.
4.বাম হাত শ্রী মাতাজীর দিকে এবং ডান হাত ধরনী মার উপর রেখে ধ্যান করতে হবে.
5. সু বিট বা সুতো পোড়ানো.
6.ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে জলক্রিয়া.
তিনটি মোমবাতির ক্লিয়ারেন্স.
1.দুটি আলোকিত মোমবাতি শ্রী মাতাজীর ফটোর সামনে রাখতে হবে.
2.তিনটি মোমবাতির আলোতে বাম দিকের চক্রগুলি সেখানকার মন্ত্র নিয়ে পরিষ্কার করতে হবে অথবা গণেশ অথর্বশীষ পাঠ করতে হবে.
তিনটি মোমবাতির ক্লিয়ারেন্স এবং মটকা ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হলো বাম দিক পরিষ্কার করার জন্য
আপনারা আপনার স্থানীয় ধ্যানকেন্দ্রে জিজ্ঞাসা করতে পারো তারা আপনাকে কলাকৌশলের ক্ষেত্রে সাহায্য করবেন.
মটকা ক্লিয়ারেন্সের কার্যপ্রনালী:
1.কুন্ডলিনী তুলবেন এবং বন্ধন নেবেন.
2.একটা মটকা নিতে হবে ( মাটির পাত্র) অর্ধেক জল দিয়ে এটাকে ভর্তি করতে হবে.
সাতটা লেবু এবং সাতটা লঙ্কা এটার ভিতর রাখতে হবে.
3.অল্প ভাইব্রেট জল আর কুমকুম এটাতে যোগ করতে হবে.
4.মটকা ভাইব্রেট করার সময় বাম হাত শ্রী মাতাজীর ফটোর দিকে এবং ডান হাত মটকার উপর রাখতে হবে, তারপর শ্রী মাতাজীর 108 নাম পড়তে হবে.
5. শ্রী মাতাজীকে প্রার্থনা করতে হবে তার সমস্ত আশীর্বাদ দেবার জন্য.তুমি আরো কিছুক্ষণ মটকাকে শ্রী মাতাজীর বেদির উপর ছাড়তে পারো.পরে ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করুন এটাকে.
6.এই ভাইব্রেট মটকাকে বিছানার নীচে রাখুন,রাত্রিরে মটকার ঢাকনা খুলুন,এবং সকালে বন্ধ করুন. এইটা সাত রাত্রি করতে হবে.
7. অষ্টম দিনে আপনি মটকার ঢাকনাটা আটা মাখা দিয়ে বন্ধ করুন এবং চলন্ত জল বা সমুদ্রে এটাকে ফেলে দিন.
8. মটকা ক্লিয়ারেন্স অমবস্যাতে করবেন না.
কি করে সামুহিকতায় বাধা পরিষ্কার করবেন:
1. সু বিট
2.সামুহিকতার জন্য সবচেয়ে ভালো পথ হলো সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানের সময় পরিষ্কার করা.
a)ডান দিকটাকে বিশেষত ব্যালেন্স করতে হবে, এবং তারপর সামুহিকতায় যে চক্রটা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তার উপর কাজ করতে হবে.
b)ঐ নির্দিষ্ট চক্রের জন্য শ্রী মাতাজীর পূজার বাণী চালাতে হবে.
ভূতগুলি বাধাগুলির মত প্রতিরোধ করে.
ভূত-ভূত একটা চক্রের উপর ঘাঁটি গড়ে.
বাধা একটা চক্র থেকে অন্য চক্রে চলাচল করে.
তাছাড়াও নানা জায়গায় শ্রী মাতাজীর দ্বারা ভূত এবং বাধার ব্যাখা প্রদান করা হল.
একটা "ভূত" এবং একটা "বাধা" মধ্যে কি পার্থক্য আছে এবং কি ভাবে তাদের সাথে আচরন করবেন.
(1980 সালের আরলেসফোর্ড সেমিনার থেকে "একজন সহজ যোগী কি" এই থেকে নিষ্কাশন করা হয়েছে).
"এখন আমি আরও একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবো.খুব সাধারন, খুব একটা কঠিন না.
যে, একটা ভূত এবং একটা বাধার মধ্যে কি পার্থক্য?
কিভাবে তোমরা দেখতে পারবে?
একটা বাধা এবং একটা ভূত.
যোগী:ভূতরা চারিদিকে ঘুরবে.
শ্রী মাতাজী:এবং বাধা?
যোগী: একজায়গায় স্থির থাকে.এই মাত্র বর্ণণা করা হল, এটাই একটা বাধা.
শ্রী মাতাজী:সে সঠিক. তুমি যা বললে ঠিক কিন্তু একেবারে যথাযথ না.এটা এর মত, আমি তোমাকে বলি. সঠিক.
আমি বোঝাতে চাইছি যে সে যা বললো ঠিক কিন্তু খুব যথাযথ না.
বাধাও চলাচল করে.আমি তোমাদের বলবো কিভাবে.বাধা সর্বদা কেন্দ্রে থাকে বা তোমার
অঙ্গগুলিতে.যদি এটা বলা হয় তোমাদের ভিতর,উদাহরনস্বরূপ, যকৃৎ এর ভিতর, এই বাধা হয়তো আসে কেন্দ্র হতে এবং তারপর এটা শুরু করবে চলাচল করতে তোমার এখান থেকে এখানে যেমন কুন্ডলিনী চলাচল করবে.ঠিক আছে?
কিন্তু বাধার অবাধ গতিবিধি নেই. কুন্ডলিনী যেমন চলাফেরা করবে বাধা ও চলাচল করবে.বাধা মানে প্রতিবন্ধক.ঠিক আছে?
কিন্তু একটা ভূত অবাধ. এক মূহুর্ত্ত এখানে থাকবে, এক মূহুর্ত্ত ওখানে থাকবে.এটা এই দিকে চলাফেরা করবে, এটা অন্যদিকে চলাচল করবে.এটা ডান হৃদয়ে যাবে, তারপর এটা বাম হৃদয়ে আসবে.যদি এটার অবাধ আচরন থাকে, ওটার মানে তোমার আঙুলগুলির
গতিবিধির দ্বারা এটা নিয়ন্ত্রিত নয়.তোমার কুন্ডলিনী জাগরনের মাধ্যমে তুমি নিশ্চয়ই জানবে এটা ভূত.ঠিক আছে?
বুঝলে কি আমি বলছি,একটা জিনিস যে অবাধ, কাজ করে নিজেই, এবং অন্যটি যে তোমার নিয়ন্ত্রনে আছে.
তুমি স্বয়ং এটাকে তোমার থেকে বের করছো.যেমন তুমি বলতে পারো ওখানে তোমার শরীরের ভিতর কিছু পিন্ভ আছে, এটা হয়তো চলাচল শুরু করছে রক্তের প্রবাহ বা কিছু দিয়ে, কিছু শক্তি এর উপর কাজ করে.কিন্তু এটা নিজের দ্বারা এটা কাজ করে না.কিন্তু ওখানে একটা পোকা আছে, এটা নিজেই নিজের দ্বারা কাজ করবে".
কি করবেন বাম বিশুদ্ধির জন্য যখন ডান আজ্ঞা এটাকে প্রভাবিত করে.
1.ডান আজ্ঞা পরিষ্কার:
জল ক্রিয়ার সময় পায়ের পাতা জলের মধ্যে রেখে ডান আজ্ঞায় বরফ দিতে হবে এবং ভগবান বুদ্ধের প্রার্থনা পড়তে হবে.
আপনি দয়া করে আমাদের বলুন কি করে নিজেদের পরিষ্কার করলে আমরা নিজেদের স্বচ্ছ অনুভব করবো আর সঠিক ভাইব্রেশন অনুভব করবো.
1.সব কিছু বিশুদ্ধ চক্রের উপর কার্যান্বিত.সামূহিকভাবে আল্লা হো আকবর "বলতে হবে
নাকে ঘি কর্পূর দিতে হবে.
2.ডান দিকের বিশুদ্ধির জন্য
হাতকে জলে সিক্ত করা খুব উপকারী
3.বাম বিশুদ্ধির জন্য তিনটি মোমবাতির ক্লিয়ারেন্স, আর শ্রী কৃষ্ণের 108 নাম নিতে হবে.
কচি শিশুদের
1.কচি শিশুদের ডানদিকের নাভীর উপর ধ্যান করতে বল-ডান হাত শ্রী মাতাজির দিকে এবং বাম হাত ডান স্বাধিষ্ঠান এবং ডান নাভিতে.
2.নির্বিচারিতা আর স্থির চিত্তের জন্য শ্রী মাতাজীর বিন্দির দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন যা আজ্ঞা চক্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে.
3 নিয়মিত জলক্রিয়া করা এবং দুদিক কে ব্যালেন্সিং করা.
4.ডান নাভী ও ডান স্বাধিষ্ঠানে বরফ রাখা.
5.কিছুক্ষন ধ্যান চোখ খুলে এবং তারপর চোখ বন্ধ করে ধ্যান করতে হবে.
শিশুদের/অন্য বয়সের জন্য
1.দুবছর বয়স পর্যন্ত আপনারা শিশুদের কোলে নিয়ে জলক্রিয়া করতে পারেন,তবে পূর্বে আপনাদের নিজেকে clear ও ব্যালেন্স করা উচিত.
2.সেন্টার চ্যানেলে মূলাধার থেকে সহস্রার পর্যন্ত কুন্ডলিনী তুলে শিশুকে একটা বন্ধন দিতে হবে.
মানসিক অসুস্থতা
1.মটকা ট্রিটমেন্ট করতে হবে.
2. বামদিকের চ্যানেল পরিষ্কার করতে হবে.
3.আজ্ঞা চক্র পরিষ্কার-মোমবাতির শিখার ভেতর থেকে শ্রী মাতাজীকে বিন্দি কে দেখে "ওম হাম ক্ষেম বলতে হবে"
লর্ডস প্রেয়ার বলতে হবে
4.সু বিট করতে পারেন.
পশ্চাদআজ্ঞা স্বচ্ছ করার পদ্ধতি
1.যদি ব্যাক আজ্ঞা বাদিক থেকে-গণেশ অথর্বশীষ অথবা
ব্যাক আজ্ঞার উপর আপনি মহাগণেশের বীজ মন্ত্র বলতে পারেন.
2. মটকার মাধ্যমে পরিষ্কার করতে পারেন.
3.ব্যাক আজ্ঞার জন্য সকাল সাতটার আগে ভোরের দিকের সূর্যের রশ্মি.
4.যদি ব্যাক আজ্ঞার ডানদিক থেকে-ব্যাক আজ্ঞায় আইস প্যাক লাগান.
সামনের আজ্ঞার স্বচ্ছতা-
1.জলক্রিয়ার জলের ভিতর পায়ের পাতা রাখতে হবে.
2. আজ্ঞা পরিষ্কার-মোমবাতির রশ্মির ভিতর থেকে শ্রী মাতাজীর বিন্দি দেখতে হবে- বলতে হবে 'ওম হাম ক্ষেম
3.লর্ডস প্রেয়ার বলতে হবে.
4. সু বিট করতে পারেন.
বাম দিকের আজ্ঞা জন্য
যদি বাম দিকের আজ্ঞা শক্তিশালী হয়, তখন:
1.মহাভৈরবের 21 নামের মাধ্যমে আপনার বামদিকের আজ্ঞা পরিষ্কার করতে পারেন.
2.আদি গুরু দত্তায়ের নামের মাধ্যমে নাভি পরিষ্কার করতে পারেন.
3. মটকা ট্রিটমেন্ট করুন
4.সামনের আজ্ঞার উপর ক্যান্ডেল নিন.
বিশুদ্ধির স্বচ্ছতা:
ডান বিশুদ্ধির জন্য,(ডান দিক)
1.ডান হাতকে জলে সিক্ত করুন.
2. দয়া করে বাম হাত শ্রী মাতাজীর ফটোর দিকে রাখুন এবং ডান হাত ছোটো গামলার ভিতর সিক্ত করুন, এবং আপনি শ্রী কৃষ্ণের 108 নাম অথবা শ্রী কৃষ্ণের 16 নাম পড়তে নাম.
বাম দিকের বিশুদ্ধি পরিষ্কার করতে:
1.আপনার সামনে একটা মোমবাতি রাখতে হবে,এবং শিখাতে বাম বিশুদ্ধির আঙুলকে দেখাতে হবে.
2.ডান হাত ধরনী মার উপর রাখতে হবে.
3. বিষ্ণু মায়ার মন্ত্র বলতে হবে
4.বাম দিকের বিশুদ্ধির বিবৃতি দিতে হবে বা প্রার্থনা করতে হবে.
বিশুদ্ধির স্বচ্ছতার জন্য
1.আল্লাহ হো আকবর বলতে হবে.
2.ঘি এর মালিশ করতে হবে.
বিশেষ রোগের ক্লিয়ারেন্স
সারকোইডোসিস
1.সেন্টার হার্ট পরিষ্কার করতে হবে.
2. শ্রী দূর্গার 84টি নাম বা দেবী কবচ পড়তে হবে.
হৃদপিন্ডে রক্তসঞ্চালক ধমনী:
1. বামদিক পরিষ্কার করতে হবে.
2.বাম দিকের বিশুদ্ধি পরিষ্কারের প্রয়ো জন-এ্যাঞ্জেনার জন্য
বহুবিধ ধমনী প্রভৃতির কাঠিন্য:
1.বাম দিক ও মূলাধার চক্র পরিষ্কার করতে হবে.
2.বাম হাত শ্রী মাতাজীর ফটোর দিকে আর ডান হাত ধরনী মার উপর রেখে মূলাধার চক্রের উপর শ্রী গণেশের নাম নিয়ে ধ্যান করতে হবে.
3.এটা একটা বাধা, বাধাকে সুবিট করতে হবে.
অতিরিক্ত ওজন ও শারীরিক সমস্যা:
1. আহার নিয়ন্ত্রন.
2.শরীর চর্চা করতে হবে.
বার্দ্ধক্যজনিত সমস্যা:
1. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সাপলিমেন্ট খেতে হবে.
2. দেবী কবচ পড়তে হবে.
3.দুর্বল বাম চ্যানেলকে পুষ্টিসাধন করতে হবে.
4.ডান হাত শ্রী মাতাজীর দিকে এবং বাম হাত আকাশের দিকে রেখে আবার বাম হাত শ্রী মাতাজীর দিকে রেখে এবং ডান হাত আকাশের দিকে রেখে ধ্যান করতে হবে.
অল্প বয়স্কদের বাত:
1.বাম দিক পরিষ্কার করতে হবে.
2.জন্মগত সব সমস্যার জন্য:
প্রার্থনা করতে হবে শ্রী মাতাজীকে,শ্রী গণেশ রূপে.
অবরুদ্ধ সাইনাস:
1.পেঁয়াজের ট্রিটমেন্ট:খোসা ছাড়ানো পেঁয়াজকে গ্যাসের শিখার উপর রাখতে হবে,-
পেঁয়াজের ছিলকা যখন প্রায় পুড়ে যাবে এবং বাকী পেঁয়াজ টা যখন উষ্ণ হয়ে যাবে, প্রতিটি খোসা বের করে সাইনাসের উপর রাখতে হবে.
2.উষ্ণ স্যালাইন দিয়ে সাইনাস পরিষ্কার করতে হবে.
তারপর ঘি ও কর্পূর ব্যবহার করতে হবে.
3. বাম বিশুদ্ধি পরিষ্কার করতে হবে.
হৃদয় ধড়ফূড়্ করা:
1.ডান দিকের হৃদয় চক্র পরিষ্কার:জল ক্রিয়া,আইস প্যাক দিতে হবে ডান স্বাধিষ্ঠান, ডান নাভী, ডান হৃদয় চক্রে.
2.রাম কবচ পাঠ করতে হবে.
পিতৃপুরুষ আর অধিকারের জন্য.
প্রার্থনা:বাম হাত ডান হৃদয়ের উপর রাখতে হবে.তা
প্রার্থনা:শ্রী মাতাজী কৃপা করে আপনি আমার সব পিতৃপুরুষকে আপনার দিব্য চিত্তে নিন, এবং তাদের সহজযোগের মাধ্যমে মুক্তি দান করুন.
আবার পিতৃপুরুষদের বলতে পারেন: "শ্রদ্ধেয় পিতৃপুরুষগন,আমি শ্রী মাতাজী নির্মলা দেবীর পূর্ণ সুরক্ষার মধ্যে আছি,এবং আমি সুরক্ষিত, আপনাদের নিজেদের কে শ্রী মাতাজী নির্মলা দেবীর কাছে সমর্পিত করা উচিত, এবং সহজযোগের মাধ্যমে মুক্তি পান.
সু বিট
1.আপনার কুন্ডলিনী তুলে এবং একটা বন্ধন নিন.
2.দুটি হাত পৃথিবী মায়ের উপর রেখে শ্রী আদি ভূমির মন্ত্র নিন এবং সু বিটের জন্য অনুমতি চান.
3.তর্জনীর দ্বারা মাটিতে একটা বৃত্ত আঁকতে হবে, নিজের নাম এবং তারপর সমস্যা লিখুন-উদাহরনস্বরূপ অহংকার প্রতি অহংকার
4.আপনার আঙুল না তুলে সাতটা বৃত্ত আঁকুন আর আর যা লিখেছেন তার চারিদিকে বন্ধন নিন.
5.বাম পায়ের চটি অথবা জুতো হিল দিয়ে জুতো পেটা করুন বাধা 108 বার ( বিশেষত চামড়ার জুতো অথবা চটি)
তারপর যা লিখেছিলেন মুছে ফেলুন.
6 ক্ষমা প্রার্থনা করুন পৃথিবী মায়ের কাছে তার উপর জুতো পেটানোর জন্য.
স্ট্রিং বার্নিং:
সুতা পোড়ানো
1 আপনি কুন্ডলিনী তুলে এবং বন্ধন নিন.
2.একটা সুতির সুতা নিন.
3.সুতোর বিভিন্ন সমকক্ষে সাতটা গিঁট বাঁধুন এবং বাম দিকের মন্ত্র নিন, যখন গাঁট বাঁধবেন.
a)প্রথম গাঁট: শ্রী গণেশ মন্ত্র
b) দ্বিতীয় গাঁট : শ্রী নির্মল বিদ্যা মন্ত্র.
c)তৃতীয় গাঁট: শ্রী গৃহ লক্ষ্মী মন্ত্র
d)চতুর্থ গাঁট:শ্রী শিব পার্বতী মন্ত্র
e)পঞ্চম গাঁট:শ্রী বিষ্ণুমায়া মন্ত্র
f)ষষ্ঠ গাঁট:শ্রী মহাবীর মন্ত্র
g)সপ্তম গাঁট:শ্রী মহাকালী /শ্রী ভৈরবা মন্ত্র
4.সরিষার তেলের ভিতর গাঁট যুক্ত সুতো ডুবিয়ে রাখতে হবে.
5.সাঁড়াশি দিয়ে সুতোটাকে ধরে রাখতে হবে এবং শুদ্ধ ইচ্ছার মন্ত্র নিতে হবে, প্রার্থনা করতে হবে শ্রী মাতাজী কৃপা করে আপনার অগ্নি তত্ত্বের মাধ্যমে সব নরকাত্মক পুড়িয়ে ফেলুন.
6. সুতোটার দিকে তাকিয়ে পোড়ান ( বাথরুমের মধ্যে)
7.ফ্ল্যাশ করে এটাকে সরিয়ে দিন.
কর্কট রোগ বা ক্যানসারের জন্য
বাম দিক বা একাদশ রুদ্র স্বচ্ছ করা:
পরিষ্কার হতে পারেন
একাদশ রুদ্রের 11 নাম ভবসাগরের উপর.
বামদিকের জন্য:
1.মটকা(লেবু এবং লঙ্কার ক্লিয়ারেন্স)
2. তিনটি মোমবাতি(যখন ক্লিয়ার করবেন মোটা মোমবাতি ব্যবহার করতে হবে)
3.জলক্রিয়ার সময় ভবসাগর পরিষ্কার করতে হবে- দশজন গুরুর নাম নিতে হবে.
4.বাম হাত শ্রী মাতাজীর দিকে এবং ডান হাত পৃথিবী মায়ের উপর রেখে ধ্যান করতে হবে.
5.শ্রী মহাকালীর 108 নাম নিতে হবে.
যদি খুব বেশী গরম হয় তাহলে ডান স্বাধিষ্ঠানে আইস প্যাক দিতে হবে.
দেবী কবচ পড়তে হবে,বা হৃদয় চক্রের উপর 12 বার মা জগদ্মবার নাম বলাও
ডায়বেটিসের জন্য উপকারী হবে.
1.দয়া করে প্রতিদিন দুবার জলক্রিয়া করুন যদি সম্ভব হয় দিনে দুবার করতে হবে.
2.ডান স্বাধিষ্ঠান, নাভী, লিভার, ডান এবং ব্যাক আজ্ঞায় আইস প্যাক লাগাতে হবে.
3. যখন মোমবাতির শিখার মাধ্যমে শ্রী মাতাজীর বিন্দি দেখে যখন জলক্রিয়া বা "ওম হাম ক্ষম" বা লর্ডস প্রেয়ার বলবেন
4.ডান স্বাধিষ্ঠানের উপর ছয় বার শ্রী হজরত আলি আর ফতিমা নাম নেবেন.
5.ডান হাত শ্রী মাতাজীর দিকে এবং বাম হাত আকাশের দিকে রেখে ধ্যান করতে হবে, চেষ্টা করতে হবে চিত্ত স্থির রেখে এবং নির্বিচার হবার.
6.আধ্যাত্মিক উত্থানের পথে এবং শারীরিক রোগের কারনে যত বাধা আছে সেই সব বাধা আর অহংকার প্রতিঅহংকারের জন্য সু বিট করতে হবে.
"……। যে কোনও বিপত্তির সময় তুমি খুব শান্ত হয়ে যাও ! এটি একটি তৃতীয় স্থিতি/অবস্থা! যদি কোনও কিছু তোমাকে বিব্রত বা বিরক্ত করে, চুপ করে থেকে তার মূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করো! বাস্তবে,এই শান্তি (নীরবতা)-- তোমাকে শক্তিশালী করে তুলবে! এই নীরবতা কেবল তোমার একার নয় কারণ এই অবস্থায় তুমি মহাজাগতিক নীরবতায় থাকো, তোমার সম্পর্ক তখন সেই ঈশ্বরিক দৈবশক্তির সাথে থাকে যা মহাবিশ্বকে চালিত করে।
যদি তুমি কেবল নীরব হয়ে যাও তবে বুঝতে পারবে যে তুমি পরমাত্মার সাথে যুক্ত হয়ে গেছো। তুমি ঈশ্বরের রাজ্যে বসে আছো! এই নীরবতা এই সত্যের নিদর্শন যে এখন তুমি সন্দেহাতীতভাবে ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হয়েছো, তুমি এখন শান্ত কারণ এখন পরমাত্মা তোমার প্রতিটি কাজ পরিচালনা করবেন। ... .... কেবল নির্বিচার থাকতে হবে, বাধ্য হয়ে নয়, এটি একটি অবস্থা/স্থিতি !
কোন সমস্যা বা অশান্তি আসার সাথে সাথেই তোমার মন নীরবতায় ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং তুমি সর্বব্যাপী শক্তির সাথে সংযুক্ত হয়ে যাবে। "
পরমপূজ্য শ্রী মাতাজি নির্মলাদেবী,১৮/০৭/১৯৯২
তত্ব: বায়ু
গ্ৰহ: শুক্র
চিহ্ন: জ্যোতি
রত্ন- মানিক
বর্ণ: জামুনী
স্থান: বুকের মধ্য ভাগ, স্টারনাম হারের পিছনে।
বীজ মন্র: ইয়ম
অভিব্যক্তি - কার্ডিওপ্লেক্সেস, হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল, পায়ের ছোট আঙ্গুল, বারোটা পাপড়ি।
দেবতা: শ্রী সীতা- রাম, শ্রী জগদম্বা, শ্রী শিব- পার্বতী।
গুণ: নির্ভয়তা, আত্মবিশ্বাস, সুরক্ষা, প্রেম, কর্তব্য পরায়ণতা, ধৈর্য।
আর্দশ- মর্যাদা, জন কল্যাণ ভাবনা, নির্লিপ্ততা।
নিয়ন্ত্রিত অঙ্গকার্য: হৃদয়, শ্বাসযন্ত্র, শ্বাসক্রিয়া, বাইরের এবং ভিতরের দুষ্প্রভাবের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা। বারো বছর অব্দি শরীরের অ্যান্টি বডি উৎপন্ন করা।
দোষ হওয়ার কারণ - অমর্যাদিত জীবন, স্বার্থ, মা বাবার সঙ্গে প্রেমভাব না থাকা, অসুরক্ষার ভাবনা, মোহ।
দুষিত চক্রের জন্য উৎপন্ন রোগ: হৃদয়ের রোগ, ব্রেস্ট ক্যান্সার, টি বি, ভয় পাওয়া, আজমা।
শুদ্ধিকরণ:
1) শ্রী মাতাজীর প্রতি পূজা সমর্পণ, উনাকে হৃদয়ে স্থাপন করে নিষ্ঠার সঙ্গে ধ্যান করতে হবে। শ্রী জগদম্বার মন্ত্র উচ্চারণ করতে হবে।
2) শ্রী মা এর পূজা শ্রী রাম আর শ্রী শিব রূপে করতে হবে।
3) নিজের সব উত্তরদায়িত্ব পালন করতে হবে। মাতা পিতা কে আদর করতে হবে।
4) আত্মার বিরুদ্ধে কাজ করা যাবে না। আমি আত্মা বারোবার বলতে হবে।
....সব ব্যক্তি কে ভিতরে একটি বস্ত্র পরতে হবে।.... কারণ হল এটি অনাহত চক্র কে রক্ষা করবে। এটি না পরলে অনাহত চক্রের অসুরক্ষা বেড়ে যাবে। আপনার ব্যথা হতে পারে, কাশি সর্দি হতে পারে, নানা রকম রোগ হতে পারে। যদি ঘাম হয়, ভিতরের কাপড়টি ঘাম টেনে নেবে। নাতো ওতে হাওয়া লেগে যাবে। এই ছোট জিনিস ও চক্রের ক্ষতি করতে পারে। কারণ চক্রের ও দেহ হয়। যদি দেহের ক্ষতি হয় তো ওটি চক্রের মধ্যে দেখা যাবে।
প. পু. শ্রী মাতাজী, দিল্লী।
তত্ত্ব- জল
গ্ৰহ- বৃহস্পতি
বর্ণ- সবুজ
স্থান- নাভির চারপাশ, হাতের তালুর মধ্যভাগ
ছেড়ে তালুর চারপাশ, পায়ের তালুর চারপাশ।
দেবতা- শ্রী আদিগুরু
গুণ- গাম্ভীর্য, গুরুত্বাকর্ষণ, দশ ধর্মাদেশ।
নিয়ন্ত্রিত অঙ্গ-কার্য- পেট, হৃদযন্ত্রের কিছু অংশ, পাচন ক্রিয়া।
দোষ হওয়ার কারণ-কট্টরতা, ধর্মান্ধতা, কুগুরুকে অনুসরণ করা।
শুদ্ধিকরণ- শ্রী মাতাজীকে গুরু রূপে পূজা, স্বয়ং কে গুরু মানা।
শ্রী আদিগুরু দত্তাত্রেয় এবং উনার দশ অবতরণ:-
শ্রী রাজা জনক- 13000-16000 BC- ভারত
শ্রী আব্রাহাম - 2000 BC - মেসোপটেমিয়া
শ্রী মোজেস- 1300 BC- মিশর
শ্রী জরাথুষ্ট্র- 1000 BC- পারস্য
শ্রী লাওৎসসে- 640 BC- চীন
শ্রী কনফুসিয়াস - 551 BC- চীন
শ্রী সক্রেটিস - 469 BC-গ্ৰীস
শ্রী মহম্মদ সাহেব- 570 AD ভারত
শ্রী শিরডির সাইনাথ- 556 AD ভারত
পাপকে ঘৃণা করতে হবে, পাপীকে নয়। (যীশু খ্রি্ট)
ঈশ্বরই আকাশ আর ধরিত্রী তৈরী করেছেন, যা কিছু পৃথিবী তে আছে, সবই ঈশ্বরের অধীনে, উনি সবার মালিক আর উনি সবার রক্ষকর্তা।
( মহম্মদ সাহেব)
যতটুকু দরকার, ততটুকু রোজকার করা যাতে তোমার দরকার টুকু পুরণ হয়। বাঁচো আর বাঁচতে দাও। সবার মালিক এক। (শ্রী সাইনাথ)
তত্ত্ব- জল
গ্ৰহ- গুরু
চিহ্ন- নর-মাদা
রত্ন- পান্না
বর্ণ- সবুজ
বীজ মন্ত্র- রম্
প্রকাশ- সূর্য চক্র, দশটি পাপড়ি
স্থান- নাভির পিছনে, হাতের মধ্য আঙ্গুল, পায়ের আঙ্গুল
দেবতা- শ্রী লক্ষী-নারায়ণ
গুণ- সন্তোষ, ঔদার্য, করুনা, গরিমা, উদারতা, ধর্মিকতা, সেবার ভাবনা।
নিয়ন্ত্রিত অঙ্গ-কার্য- পেট, অন্ত্র, লিভারের কিছু অংশ, পাচন ক্রিয়া।
দোষ হওয়ার কারণ-কট্টরতা, ধর্মান্ধতা, কৃপনতা, পারিবারিক অশান্তি, চালবাজি, আলোচনাত্মক স্বভাব।
দূষিত চক্রের থেকে উৎপন্ন রোগ- আত্মঘাত, মস্তিষ্ক যাত, পক্ষা যাত, শরীরের পূর্ণ ডিহাইড্রেশন, পেটের আলসার, পেটের ক্যান্সার, পেটে চর্বি
শুদ্ধিকরণ-
১) শ্রী লক্ষী-নারায়ণ এর মন্ত্র উচ্চারণ ও প্রার্থনা।
২) ঘর সংসার এবং ধনের উপর খুব লিপ্ত না থাকা।
৩) সবসময় খাবারের চিন্তা না করা।
৪) ধার্মিক জীবন যাপন করতে হবে, আত্ম্ সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
কট্টরতা আর ধর্মান্ধতা আপনার নাভি চক্রের ক্ষতি করে।
তত্ত্ব- অগ্নি (আগুন)
গ্ৰহ- বুধ
চিহ্ন- স্টার
রত্ন- জম্বুমণি
বর্ণ- হলুদ
স্থান- কোমরের মেরুদন্ডের অংশ, হাতের আঙ্গুল, পায়ের মাঝখানের আঙ্গুল
বীজ মন্ত্র- বম্
প্রকাশ- মহাধমনী চক্র, ছয়টি পাপড়ি
দেবতা- শ্রী ব্রহ্মদেব-সরস্বতী
গুণ- সৃজনাত্বকতা, সৌন্দর্যবোধ, কলা।
নিয়ন্ত্রিত অঙ্গ-কার্য- যকৃত, আমাশা, প্লীহা, লিভার, প্যানক্রিয়াস
দোষ হওয়ার কারণ- অতিবিচার, অতিকর্মী, অসন্তুলন
দূষিত চক্রের জন্য উৎপন্ন রোগ- জতিল কোষ্ট কাঠিন্য, আজমা, সুগার
( ডায়াবেটিস), পক্ষাঘাত, রক্ত ক্যান্সার, গুহ্যরোগ
শুদ্ধিকরণ- শ্রী ব্র্হ্মদেব সরস্বতীর মন্ত্র উচ্চারণ,
শ্রী ফাতিমা হাজরত আলির মন্ত্র উচ্চারণ,
শ্রী মাতাজির থেকে শুদ্ধ বিদ্যা চাইতে হবে,
কুগুরুর থেকে দূরে থাকতে হবে।
.....হাজরত আলির নাম না নিলে স্বাধিষ্ঠান ঠিক হবে না।
প পু শ্রী মাতাজী, দিল্লী ৩১.৩.১৯৭৭
অনেকেই বলেন যে বেশি চিনি খেলে সুগার হয়, এটি সত্য নয়, চিনি খেলে সুগার হয় না। বেশি চিন্তা করলে সুগার রোগ হয়। ব্যক্তি কে বোঝাতে হবে যে বেশি চিনি ঠিক নয়। কিন্তু চিনি খাওয়া জরুরী।
সেই রকম নিজের বিচার কে থামানো খুব জরুরী।
তত্ব: ভুমি
গ্ৰহ: মঙ্গল
চিহ্ন: স্বস্থিক
বর্ণ: লাল
স্থান: ত্রিকোণাকার অস্থির নীচে, হাতে কবজির সামনে, পায়ের গোড়ালি
বীজ মন্র: লম্
আকৃতি: চারটি পাপড়ি
দেবতা: শ্রী গণেশ
গুন: অবোধিতা, পবিত্রতা, সন্তুলন, বুদ্ধি, চুম্বকীয় শক্তি।
নিয়ন্ত্রিত অঙ্গকার্য: গর্ভাশয়, প্রোস্টেট, যৌন গতিবিধি, উৎসর্জন (জন্মের উৎস )
দোষ হওয়ার কারণ: ব্যভিচার, সমলিঙ্গক কামুকতা, তন্ত্র বিদ্যা, মাতা পিতা দ্বারা বাচ্চাকে দরপুযোগ।
দুষিত চক্রের জন্য উৎপন্ন রোগ: এডস, সেক্স সম্বন্ধে রোগ ইউটেরাস আর প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড এর ক্যান্সার।
শুদ্ধিকরণ:
1) শ্রী মাতাজীর চরণের পূজা শ্রী গণেশের রূপে।
2) শ্রী গণেশের ১৹৮ নামের রূপে প্রার্থনা।
3) ভূমির উপর বসে শ্রদ্ধার সঙ্গে গণেশ অথর্বশির্ষম পাঠ করতে হবে।
4) অবৈধ যৌন সম্বন্ধ থেকে দূরে থাকা।
5) অশ্লীল সাহিত্য পড়া যাবে না এবং তান্ত্রিক প্রয়োগ থেকে দূরে থাকতে হবে।
6) মাটির উপর বসে শ্রী গণেশ অথর্বশির্যম পড়তে হবে। এব্ং শ্রী গণেশের ধ্যান করতে হবে। আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।